Sunday, August 13, 2017

'আমাদের সকল কাজের মূলে যদি থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি তবে আমাদের সফলতা আসবেই'

-------মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
এই পৃথিবীতে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদত করার জন্য৷কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই ইবাদতের সঠিক সংজ্ঞা জানেন না৷ইবাদত বলতে মূলত আল্লাহ তা'আলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলাকেই বোঝায়৷আর সকল ভাল কাজ করা এবং সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা আল্লাহ তা'আলার আদেশ৷অতএব মানুষ যেসব ভাল কাজ করবে তার সবই এবাদত৷অন্যদিকে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকাটাও ইবাদত৷কারণ মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতেও আল্লাহ আদেশ করেছেন৷
এখন আমরা যদি এভাবে ভালো কাজ করি ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকি তাহলে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে৷কেননা আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করার জন্যই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন৷আর উপরের আলোচনা থেকে এই কথা স্পষ্ট প্রতীয়মান যে সকল ভাল কাজ করা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকাই আল্লাহর ইবাদত৷
এখন আমরা যদি সর্বাবস্থায় বিভিন্ন ভাল কাজ করি এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকি তাহলে চিন্তা করুন আমাদের জীবনটা কত সুখময় হয়ে যাবে৷
এখন আমাদের ভাল কাজের সঠিক সংজ্ঞা জানা প্রয়োজন৷কেবলমাত্র সেসব কাজই ভাল যা স্রষ্টা ভাল বলেছেন৷আর সেই সমস্ত কাজ কখনো ভাল হওয়া সম্ভব নয় যা আমাদেরকে স্রষ্টা আল্লাহ তা'আলা করতে নিষেধ করেছেন৷এমন অনেক কাজ রয়েছে যা আমার ভাল লাগলেও আপনার হয়ত ভাল লাগবেনা অথবা আপনার ভাল লাগলেও আমার ভাল লাগবেনা৷তাই কোন কাজটি প্রকৃতপক্ষে ভাল তা আমাদের সাধারণ জ্ঞান দ্বারা জানা সম্ভব নয়৷তাই কেবলমাত্র সেসব কাজকেই ভাল বলা যাবে যা আল্লাহ ভাল বলেছেন৷অন্যদিকে আল্লাহ তা'আলা যেসব কাজকে খারাপ বলেছেন তা-ই খারাপ৷কেননা আল্লাহ সব জানেন৷তিনিই প্রকৃত ভাল খারাপ নির্ণয়ের ক্ষমতা রাখেন৷
আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে কিভাবে আমরা সফল হতে পারি তা একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো যায়৷যেমন ধরুন আল্লাহ তা'আলা মিথ্যা কথা বলতে নিষেধ করেছেন এবং সত্য বলতে বলেছেন৷এখন আমরা যদি মিথ্যা থেকে বিরত থাকি আর সত্য বলি তবে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব৷কারণ সত্য বলা আর মিথ্যা না বলা এই দুটো কাজই আল্লাহর ইবাদত৷আর এইভাবে আমরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বাবস্থায় সত্য বলি ও মিথ্যা থেকে বিরত থাকি তাহলে আমরা অন্যান্য অপরাধ থেকেও বিরত হতে পারব৷আর এইভাবেই আমরা ভাল কাজ করে দুনিয়াতে মানুষের কাছে যেমন সমাদৃত হতে পারি ঠিক তেমনই আখিরাতেও সফলতা লাভ করতে পারি৷

Monday, August 7, 2017

'বাংলাদেশের কথিত নাস্তিকদের উদ্দেশ্য কি'

প্রথমেই বলেনি আমি এখানে 'কথিত নাস্তিক' বলতে কাদের বোঝাচ্ছি৷'কথিত নাস্তিক' বলতে আমি মূলত তাদেরই বোঝাচ্ছি যারা নিজেদেরকে 'নাস্তিক' বলে দাবী করলেও মূলত তারা ইসলামবিরোধী৷
বাংলাদেশে ব্লগে,ফেইসবুকে কিংবা অন্যকোনো মিডিয়ায় যারা নিজেদেরকে 'নাস্তিক' বলে দাবী করে তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শুধু মাত্র ইসলামেরই বিরোধীতা করতে৷
নাস্তিক হচ্ছে শুধুমাত্র তারাই যারা কোনো ধর্মকেই বিশ্বাস করেনা৷কিন্তু যারা শুধুমাত্র একটি ধর্মের বিরোধীতা করে তারা নাস্তিক হয় কি করে?বাংলাদেশে যারা নিজেদের 'নাস্তিক' বলে শুধু তারা ইসলামের বিরোধী পক্ষ হয়ে কাজ করে৷
নাস্তিক বলতেতো কোনো ধর্মের বিরোধী বোঝায়না৷বরং ধর্মের প্রতি যাদের আস্থা নেই তারাই নাস্তিক৷
তাই বাংলাদেশে মূলত নাস্তিক নেই৷বরং রয়েছে ইসলামবিরোধী৷আর এই কথিত নাস্তিক তথা ইসলামবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে মুসলিমদের উৎখাত করা৷
তাই এইসব কথিত নাস্তিকদের শাস্তির আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন৷এরা ইসলাম,রাষ্ট্র ও সরকারের শত্রু এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী৷

-------------------------------মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল

বাংলাদেশের মিডিয়া কাদের পক্ষপাতিত্ব করে


---------- Muhammad Ainan Iqbal ----------------
বর্তমান যুগে মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷কিন্তু মিডিয়াগুলো যখন বিশেষ কোনো গোষ্ঠী,দল বা মতের পক্ষে কাজ করে অথবা বিরুদ্ধে কাজ করে তখন সঠিক খবর পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে৷
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমানে বেশিরভাগ মিডিয়ায় বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের পক্ষপাতিত্ব করে৷আবার অনেক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের বিরোধীতা করে৷অর্থ্যাৎ নিরপেক্ষতা বিষয়টি বর্তমান মিডিয়া জগতে এককথায় নেই বললেই চলে৷
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মিডিয়া সম্পর্কে অনেক মানুষের যে ধারণা ছিল তা থেমিস মূর্তিটি অপসারণের পর অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে৷অধিকাংশ মানুষই ভাবত যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মিডিয়া সরকারের পক্ষেই কথা বলে৷অর্থ্যাৎ যখন যেই দল ক্ষমতাই থাকে সেই দলেরই পক্ষে কথা বলে৷কিন্তু গ্রীকের থেমিস মূর্তিটি অপসারণ এবং অন্যত্র পুনঃস্থাপনের পর মিডিয়া সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টানোর কথা৷কারণ প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগেই সেই মূর্তিটি অপসারিত হয়৷কিন্তু অপসারণের পর বেশিরভাগ মিডিয়া এই কাজের সম্পূর্ণ বিরোধীতা করেছে৷তারা মূর্তি অপসারণকে এই সরকারের রাজনৈতিক অপকৌশল হিসেবে অপপ্রচার করেছে৷অন্যদিকে গুটিকয়েক নাস্তিকের ক্ষোভ জানানোকে তারা বেশ ফলাওভাবে প্রচার করেছে৷এমনকি মূর্তি অপসারণে ইসলামী দলগুলোর উচ্ছাস প্রকাশকে বেশিরভাগ মিডিয়য় প্রকাশ করেনি৷আবার অনেকে বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে প্রকাশ করেছে৷
আবার মূর্তিটি পুনঃস্থাপনের বিষয়টি ঐসব মিডিয়া খুব ফলাওভাবে প্রচার করেছে যারা কিনা মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল৷কিন্তু এসব মিডিয়া মূর্তি পুনঃস্থাপনে মুসলিমদের ক্ষোভ প্রকাশ করার বিষয়টি প্রচার করেনি৷সুপ্রীমকোর্টের সামনে মুসলিমদের আন্দোলন করার বিষয়টিও প্রকাশ করেনি৷এমনকি এইসব মিডিয়ায় গ্রীক মূর্তিটির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যও প্রকাশিত হয়নি৷
তাহলে আপনারা কি বাংলাদেশের মিডিয়াকে নিরপেক্ষ বলবেন?না৷আসলে বাংলাদেশের মিডিয়া নিরপেক্ষ নয়৷সরকারের পক্ষে কথা না বললেই যে মিডিয়াগুলো নিরপেক্ষ হয়ে যাবে এমন কোনো কথা নেই৷বিবেচনা করলে বুঝতে পারবেন এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়া সংখ্যালঘু নাস্তিকদেরই পক্ষপাতিত্ব করছে৷যতক্ষণ সরকার নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যাবেনা ততক্ষণ তারা সরকারের পক্ষে কথা বলে৷আর সরকার যদি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যাই তারা সরকারের সমালোচনা এমনকি সরকারকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদও দেয়৷এইসব মিডিয়া শুধু যে নাস্তিকদের পক্ষপাতিত্ব করছে তা নয় বরং ইসলামের বিরোধীতাও করছে৷
এই দেশে নাস্তিকরা সংখ্যালঘু হওয়ার পরও সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়া নাস্তিকদের পক্ষে কাজ করার কারণও রয়েছে৷কারণ নাস্তিকরা যদিও সংখ্যালঘু কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়ায় পরিচালনা করে নাস্তিকরা৷অনেক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে যারা কিনা নাস্তিকদের কাজ থেকে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই নাস্তিকদের পক্ষপাতিত্ব করে৷
এখন মুসলিমদের করণীয় হচ্ছে মিডিয়া পরিচালনায় উদ্যোগী হওয়া৷আল্লাহ যেন নাস্তিক্যবাদী মিডিয়ার অপপ্রচার থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করেন এই দু'আ কামনা করি৷

সকল কাজের মূলেই যেন থাকে খোদার সন্তুষ্টি অর্জন

লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল আপনারা হয়তো মুসলিম জাহানের ৪র্থ খলিফা হযরত আলী ইবনে আবু তালিবের (রাঃ) সেই ঘটনাটি শোনেছেন। একদা যুদ্ধের ময়দান...