Sunday, September 17, 2017

জেনে নিন কোডেক্স জিগাস বা 'শয়তানের বাইবেল' সম্পর্কে

কোডেক্স জিগাস (লাতিন ভাষায়: Codex Gigas; বাংলা ভাষায়: বিশাল আকার বই) বিশ্বের বৃহত্তম বিদ্যমান মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপি[১]। ধারনা করা হয়ে থেকে যে, ১৩শ শতাব্দীর প্রথম তৃতীয় অংশে বোহেমিয়ার (বর্তমানে চেক প্রজাতন্ত্র) বেনেডিক্ট পোডলাজাইসের আশ্রমে এটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি ভালগেইট বাইবেলের পাশাপাশি অনেক ঐতিহাসিক নথি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যা সমস্ত লাতিন ভাষা লেখা হয়েছে। ১৬৪৮ সালে, ত্রিশ বছরের যুদ্ধের সময় সুইডিশ সৈন্যবাহিনীরা একে যুদ্ধের লুণ্ঠিত দ্রব্য হিসেবে নিয়ে যায়। বর্তমানে এটি সুইডেনের জাতীয় গ্রন্থাগার স্টকহোমে সংরক্ষিত রয়েছে, যদিও এটি সাধারনত প্রদর্শন কারা হয় না।[১] এটি শয়তানের বাইবেল হিসেবেও পরিচিত, কারণ এর ভিতর অশুভ বড় চিত্রণ রয়েছে এবং এর পৌরাণিক কাহিনীতে বর্ণিত রয়েছে যে, লেখক এটি লিখার জন্য শয়তানের সাহায্য চেয়েছিল। আসলে লেখক ছিলেন একজন মোনাকো, সে তার ঘড়ে বসে মনোযোগ দেয় এক রাত্রিতে একটি কাজ করার জন্য যাতে তার আশ্রমের নাম সুখ্যাতি হয়।

বর্ণনা

কোডেক্স সম্পূর্ণরূপে উদ্দীপ্ত।
কোডেক্স জিগাস একটি কাঠের তৈরি কভার দিয়ে ঢাকা, যা চামড়া এবং কিছু অলঙ্কৃত ধাতু দিয়ে আবৃত। এটি ৯২ সেন্টিমিটার (৩৬.২ ইঞ্চি) লম্বা, ৫০ সেন্টিমিটার (১৯.৭ ইঞ্চি) চওড়া এবং ২২ সেন্টিমিটার (৮.৬ ইঞ্চি) পুরু, যা একে মধ্যযুগীয় বৃহত্তম পাণ্ডুলিপি হিসেবে পরিচিত করে।[২] এটি ৭৫ কেজি (১৬৫ পাউন্ড) ওজন বিশিষ্ট পাণ্ডুলিপি, যাতে রয়েছে ৩১০টি চামড়ার কাগজ যা তৈরি করতে ১৬০টি গাধা অথবা সম্ভবত বাছুরের চামড়া প্রয়োজন হয়েছে।[৩] কোডেক্স জিগাস বিশ্বের বৃহত্তম মধ্যযুগীয় পাণ্ডুলিপি।[৪] প্রাথমিকদিকে এতে ৩২০টি পাতা ছিল, কিন্তু পরবর্তীকালে এর থেকে ৮টি পাতা অপসারিত করা হয়েছে।[৫] কিসের উদ্দেশ্যে বা কারা এই পাতাগুলো অপসারিত করেছে তা অজানা। সম্ভবত, সে পাতাগুলোতে বেনেডিক্ট সন্ন্যাসীদের নিয়ম ছিল।

পৌরাণিক কাহিনী

২৯০ পৃষ্ঠার শয়তানের চিত্র।
একটি পৌরাণিক কাহিনীর অনুযায়ী যা মধ্যযুগে নথিভুক্ত করা হয়েছিল : এই পাণ্ডুলিপির লেখক ছিলেন একজন মোনাকো, যে তার মোনাকোর প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করে যার ফলে তাকে শাস্তি হিসেবে তাকে জীবিত দেওয়াল গেঁথে বুজিয়ে দেওয়া হয়। এই কঠোর শাস্তি থেকে নিবৃত্তি পাওয়ার জন্য তিনি প্রতিশ্রুতি গ্রহণ করেন যে তিনি এক রাতের মাঝে একটি বই তৈরি করবেন যা তার আশ্রমের নাম চিরকালের জন্য সুখ্যাতি করবে, যেখানে মানুষের সমস্ত জ্ঞান থাকবে। তিনি মধ্যরাত্রি কাছাকাছি নিশ্চিত হন, যে তিনি একা এই কাজের সম্পূর্ণ করতে পারবেন না, তাই তিনি একটি বিশেষ প্রার্থনা করেন, ঈশ্বরের কাছে না নিপতিত দেবদূত শয়তানের কাছে। তার আত্মার বিনিময়ে বইটি সম্পূর্ণ করার সাহায্য প্রার্থনা করেন। শয়তান পাণ্ডুলিপিটি সম্পূর্ণ করে এবং মোনাকো শয়তানের সাহায্যের কৃতজ্ঞতা জানানোর জন্য প্রতীক হিসেবে সে একটি চিত্র সংযোগ করেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সংগ্রাহক: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
(ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

Saturday, September 16, 2017

জেনে নিন মুসলিম সিংহপুরুষ ওমর মুখতার সম্পর্কে

ওমর মুখতার (আরবি: عمر المختار‎) (১৮৬২-১৬ সেপ্টেম্বর,১৯৩১) লিবিয়ার সিরেনিকায় জানযুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।[১] ১৯১২ সাল থেকে শুরু করে প্রায় বিশ বছর তিনি লিবিয়ায় ইতালীয় ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেন। ১৯৩১ সালে তিনি ইতালীয়দের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং তাকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।

জন্ম ২০ অগাস্ট ১৮৬১
জানযুর, সিরেনিকা
মৃত্যু ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ (৭০ বছর)
সুলুক, ইতালি অধীকৃত লিবিয়া
পেশা কুরআন শিক্ষক
যে জন্য পরিচিত ইতালীয়দের বিরুদ্ধে লিবিয়ার লড়াইয়ে নেতৃত্বদানকারী
ধর্ম ইসলাম
জীবন সম্পাদনা

ওমর মুখতার পূর্ব সিরনিকার আল-বুতনান জেলায় জানযুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে তিনি পিতৃমাতৃহীন হন। স্থানীয় মসজিদে তিনি প্রাথমিক শিক্ষাগ্রহণ করেন। সেনুসি আন্দোলনের মূলকেন্দ্র জাগবুবের সেনুসি বিশ্ববিদ্যালয়ে তিনি ৮ বছর শিক্ষালাভ করেন। ১৮৯৯ সালে চাদে ফরাসীদের প্রতিহত করার জন্য রাবিহ আযযুবায়েরের সাহায্যার্থে অন্য সেনুসিদের সাথে তাকে চাদে পাঠানো হয়।

ইতালীয় আক্রমণ সম্পাদনা

১৯১১ সালে ইতালী-তুর্কী যুদ্ধের সময় অ্যাডমিরাল লুইগি ফারাভেলির নেতৃত্বে ইতালীয় নৌবাহিনীর একটি দল লিবিয়ার উপকূলে পৌছায় যা তৎকালে উসমানীয় তুর্কীদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। তুর্কী প্রশাসন ও সেনাদেরকে তাদের অধীনস্থ অঞ্চল ইতালীয়দের কাছে ছেড়ে দিতে বলা হয়। কিন্তু তুর্কী ও তাদের লিবিয় মিত্ররা আত্মসমর্পণের পরিবর্তে লিবিয়ার অভ্যন্তরে চলে যায়। ইতালীয়রা তিন দিন পর্যন্ত শহরে গোলাবর্ষণ করে। এরপর অধিকৃত অঞ্চলকে ইতালীর অধীনস্থ বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনা ইতালীয় ঔপনিবেশিক সেনাবাহিনী এবং ওমর মুখতারের বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের সূচনা করে।[২]

গেরিলা যুদ্ধ সম্পাদনা

পেশাগত দিক থেকে কুরআন শিক্ষক হলেও মুখতার মরুভূমিতে যুদ্ধকৌশল বিষয়ে দক্ষ ছিলেন। স্থানীয় ভূপ্রকৃতি সম্পর্কে তার সম্যক ধারণা ছিল। তার এই জ্ঞানকে তিনি যুদ্ধক্ষেত্রে ইতালীয়দের বিরুদ্ধে কাজে লাগান। এই ইতালীয়রা মরু অঞ্চলে যুদ্ধের সাথে পরিচিত ছিল না। মুখতার তার ছোট সৈন্যদল নিয়ে সফল গেরিলা আক্রমণে সক্ষম হন। আক্রমণের পর তার বাহিনী মরুভূমিতে আত্মগোপন করত। তার বাহিনী দক্ষতার সাথে বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা, সৈন্যবহরের উপর আক্রমণ চালায় এবং যোগাযোগ ও সরবরাহে বিঘ্ন সৃষ্টি করে। তার গেরিলা পদ্ধতির লড়াইয়ে ইতালীয় সৈনিকরা পর্যুদস্ত হয়ে পড়ে।[৩]

ইতালীয় গভর্নর আর্নেস্ট বমবেলি ১৯২৪ সালে জেবেল আখদারের পার্বত্য অঞ্চলে পাল্টা গেরিলা বাহিনী গঠন করেন যা বিদ্রোহীদের উপর বেশ কয়েকটি আক্রমণ পরিচালনা করে। মুখতার দ্রুত তার কৌশল পাল্টান এবং মিশর থেকে সাহায্য লাভে সমর্থ হন। ১৯২৭ সালের মার্চে ইতালীয়রা জাঘবুব দখল করে। ১৯২৭ থেকে ১৯২৮ পর্যন্ত মুখতার সানুসি বাহিনীকে পুনর্গঠিত করেন। তার দক্ষতার কারণে ইতালীয় গভর্নর জেনারেল আটিলিয়ো তেরুজ্জি ওমরকে “ব্যতিক্রমী স্থীরচিত্ত ও অটল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন” বলে উল্লেখ করেন।

১৯২৯ সালে পিয়েত্রো বাদোগলি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। ওমর মুখতারের সাথে আলোচনায় তাকে নিঃশর্ত আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। সেই বছরের অক্টোবরে মুখতার এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন এবং ইতালীয় সেনানায়ক রডোলফো গ্রাজিয়ানির সাথে ব্যাপক যুদ্ধের জন্য লিবিয় যোদ্ধাদের পুনরায় সংগঠিত করেন।

জুনে পরিচালিত সেনা অভিযানে গ্রাজিয়ানির বাহিনী মুখতারের কাছে পরাজিত হয়। পিয়েত্রো বাদোগলি, এমিলো দা বোনো ও বেনিতো মুসোলিনির সাথে গ্রাজিয়ানি মুখতারের প্রতিরোধ ভেঙে দিতে পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী সহস্রাধিক মানুষকে উপকূলবর্তী কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়, গিয়ারাবুবে উপকূল থেকে লিবিয়া ও মিশরের সীমানা বন্ধ করে দেয়া হয়। এর উদ্দেশ্য ছিল যাতে যোদ্ধারা কোনো বিদেশী সাহায্য না পায় এবং স্থানীয় জনতার সমর্থন থেকে বঞ্চিত হয়। সানুসিদের প্রতিরোধে গ্রাজিয়ানির এই পরিকল্পনা সফল হয়। বিদ্রোহীরা সাহায্যবঞ্চিত হয় এবং ইতালীয় বিমান দ্বারা আক্রান্ত হয়। স্থানীয় চর ও সহায়তাকারীদের সাহায্যে ইতালীয় বাহিনী স্থলযুদ্ধেও বিদ্রোহীদের উপর আধিপত্য স্থাপন করে। ঝুকি সত্ত্বেও মুখতার লড়াই চালিয়ে যান। ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তাকে অতর্কিত আক্রমণ করে প্রেপ্তার করা হয়।


গ্রেপ্তারের পর ওমর মুখতার
মুখতারের চূড়ান্ত প্রতিপক্ষ, জেনারেল রডোলফো গ্রাজিয়ানির বর্ণনামতে : “মাঝারি উচ্চতা, সুঠাম, সাদা দাড়ি গোফ বিশিষ্ট ব্যক্তি। ওমর মুখতার ছিলেন প্রত্যুৎপন্নমতি সম্পন্ন, ধর্মীয় বিষয়ে জ্ঞানী, শক্তিসম্পন্ন ও ক্ষীপ্র ব্যক্তি, স্বার্থ ও আপোষহীন। তিনি খুব ধার্মিক ও দরিদ্র ছিলেন যদিও তিনি ছিলেন সেনুসিদের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে।”

মৃত্যুদন্ড সম্পাদনা
ইতালীয় ঔপনিবেশিকদের বিরুদ্ধে মুখতারের প্রায় ২০ বছরব্যাপী লড়াই ১৯৩১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তার প্রেপ্তারের মাধ্যমে সমাপ্তি লাভ করে। স্লোনটার নিকটে যুদ্ধে তিনি আহত অবস্থায় প্রেপ্তার হন। তাকে প্রেপ্তারে সাহায্য করায় স্থানীয় নেতাদেরকে পুরষ্কৃত করা হয়। তার দৃঢ়তা জেলারের উপর প্রভাব ফেলে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]মুখতারের জিজ্ঞাসাবাদকারীদের মতে তিনি কুরআনের শান্তিসূচক আয়াত তেলাওয়াত করতেন।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]


ওমর মুখতারের ফাঁসি
মাত্র তিন দিনের মধ্যেই মুখতারের বিচার সম্পন্ন হয়। বিচারে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং ১৪ সেপ্টেম্বর রায়ে তাকে প্রকাশ্যে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেয়া হয়। তবে ঐতিহাসিকদের মতে এই বিচার স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ ছিল না। শেষ কথা জানতে চাওয়া হলে মুখতার কুরআনের আয়াত “ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্নাইলাইহি রাজিউন” (আমরা আল্লাহর জন্য এবং তার কাছেই ফিরে যাব) পাঠ করেন। ১৯৩১ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর সুলুকের কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে তার অনুসারীদের সামনে তাকে ফাঁসিতে ঝোলানো হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স ছিল সত্তর বছর।

চলচ্চিত্র সম্পাদনা

ওমর মুখতারের জীবনের শেষ দিনগুলো "লায়ন অব দ্য ডেজার্ট"(১৯৮১) চলচ্চিত্রে তুলে ধরা হয়েছে। ওমর মুখতার ও রডোলফো গ্রাজিয়ানির মধ্যকার লড়াইকে ভিত্তি করে চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়। এতে অ্যান্থনি কুইন, অলিভার রিড ও আইরিন পাপাস অভিনয় করেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সংগ্রাহক: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
(ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

নোবেল পুরষ্কারের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস

আলফ্রেড নোবেল ( শুনুন ), ২১ অক্টোবর ১৮৩৩ সালে সুইডেনের স্টকহোমে একটি প্রকৌশল পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি একাধারে রসায়নবিদ, প্রকৌশলী ও একজন উদ্ভাবক ছিলেন। ১৮৯৪ সালে তিনি একটি বফর লোহা ও ইস্পাত কারখানা ক্রয় করেন, যা পরবর্তীতে একটি অন্যতম অস্ত্র তৈরির কারখানায় পরিনত করেন। তিনি ব্যালিস্টিক উদ্ভাবন করেন, যা সারা বিশ্বব্যাপী ধোঁয়াবিহীন সামরিক বিস্ফোরক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তাঁর ৩৫৫ টি উদ্ভাবনের মাধ্যমে তিনি জীবদ্দশায় প্রচুর ধন-সম্পদের মালিক হন যার মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ যোগ্য ছিল ডিনামাইট[৪]।

১৮৮৮ সালে তিনি মৃতদের তালিকা দেখে বিস্মত হন, যা একটি ফরাসি পত্রিকায় এ মার্চেন্ট অব ডেথ হু ডেড প্রকাশিত হয়। যেহেতু নোবেলের ভাই লুডভিগ মারা যায়, এই নিবন্ধটি তাকে ভাবিয়ে তোলে এবং খুব সহজেই বুঝতে পারেন যে ইতিহাসে তিনি কিভাবে স্মরণীয় হতে চান। যা তাকে তার উইলটি পরিবর্তন করতে অনুপ্রাণিত করে।[৫] ১০ ডিসেম্বর ১৮৯৬ সালে আলফ্রেদ নোবেল তার নিজ গ্রাম স্যান রিমো, ইতালিতে মৃত্যু বরন করেন। সেই সময় তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর[৬]।

নোবেল তার জীবদ্দশায় অনেক গুলো উইল লিখে গিয়েছিলেন। সর্বশেষটা লেখা হয়েছিল তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে ২৭ নভেম্বর ১৮৯৫ সালে প্যারিসে অবস্থিত সুইডিশ-নরওয়ে ক্লাবে।[৭][৮] বিস্ময় ছড়িয়ে দিতে, নোবেল তার সর্বশেষ উইলে উল্লেখ করেন যে তার সকল সম্পদ পুরস্কার আকারে দেয়া হবে যারা পদার্থ, রসায়ন, চিকিৎসা, শান্তি ও সাহিত্যে বৃহত্তর মানবতার স্বার্থে কাজ করবেন[৯]। নোবেল তার মোট সম্পদের (৩১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা) ৯৪ শতাংশ এই পাঁচটি পুরস্কারের জন্য উইল করেন।[১০] ২৬ এপ্রিল ১৮৯৭ এর আগ পর্যন্ত সন্দেহ প্রবনতার জন্য নরওয়ে থেকে এই উইল অনুমোদন করা হয় নি।[১১] নোবেলের উইলের সমন্বয়কারী রগনার সোলম্যান ও রুডলফ লিলজেকুইস্ট নোবেল ফাউন্ডেশন তৈরি করেন। যার কাজ তার সম্পদের রক্ষনাবেক্ষন ও নোবেল পুরস্কার অনুষ্ঠানের আয়জন করা।[১২]

১৮৯৭ সালে নোবেলের উইল অনুমোদন হবার সাথে সাথেই নোবেল পুরস্কার প্রদানের জন্য নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি নামক একটি সংস্থা তৈরি করা হয়। অতি শীঘ্রই নোবেল পুরস্কার দেবার অন্যান্য সংস্থাগুলো প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। তাদের মধ্যে ৭ জুন ক্যারোলিংস্কা ইনিস্টিটিউট, ৯ জুন সুইডিশ একাডেমী এবং ১১ জুন রাজকীয় সুয়েডীয় বিজ্ঞান একাডেমি[১৩]। নোবেল ফাউন্ডেশন কিভাবে নোবেল পুরস্কার দেয়া হয় তার একটি নীতিমালায় পৌছায় এবং ১৯০০ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নতুনভাবে একটি বিধি তৈরি করে যা রাজা অস্কার কর্তৃক জারি করা হয়। [৯] ১৯০৫ সালে সুইডেন ও নরওয়ের মধ্যে বন্ধন বিলুপ্ত হয়। তার পর থেকে নরওয়েজীয় নোবেল কমিটি শুধু মাত্র শান্তিতে নোবেল পুরস্কার এবং সুইডেনের প্রতিষ্ঠানগুলো অন্যান্য পুরস্কার গুলো প্রদানের দায়িত্ব পায়।[১১]

আলফ্রেড নোবেলের উইল সম্পাদনা
সুইডেনের রসায়নবিদ ও শিল্পপতি আলফ্রেড নোবেলের উইল অনুসারে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করেছিলেন, যার মাধ্যমে তার প্রচুর আয় হয়, আর এই আয়ের অর্থ দ্বারাই তিনি পুরস্কার প্রদানের কথা বলে যান। জীবদ্দশায় নোবেল অনেকগুলো উইল লিখেছিলেন, এর মধ্যে সর্বশেষটি লিখেন তার মৃত্যুর মাত্র এক বছর আগে নভেম্বর ২৭, ১৮৯৫ তারিখে। নোবেলের উদ্ভাবনটি ছিল অনেকাংশেই একটি বিস্ফোরক যা প্রভূত ক্ষতির কারণ হতে পারত। তাই যুদ্ধক্ষেত্রে এই ডিনামাইটের ব্যবহার তাঁকে শঙ্কিত করে তোলে। নোবেল পাঁচটি ক্ষেত্রে পুরস্কার দেয়ার জন্য তার মোট সম্পত্তির শতকরা ৯৪ ভাগ দান করে যান। এর মোট পরিমাণ ৩১ মিলিয়ন এসইকে (৩.৪ মিলিয়ন ইউরো, ৪.৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সংগ্রাহক: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
(ছবি ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত)

Sunday, August 13, 2017

'আমাদের সকল কাজের মূলে যদি থাকে আল্লাহর সন্তুষ্টি তবে আমাদের সফলতা আসবেই'

-------মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল
এই পৃথিবীতে আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেবল তাঁর ইবাদত করার জন্য৷কিন্তু বেশিরভাগ মানুষই ইবাদতের সঠিক সংজ্ঞা জানেন না৷ইবাদত বলতে মূলত আল্লাহ তা'আলার আদেশ-নিষেধ মেনে চলাকেই বোঝায়৷আর সকল ভাল কাজ করা এবং সকল মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকা আল্লাহ তা'আলার আদেশ৷অতএব মানুষ যেসব ভাল কাজ করবে তার সবই এবাদত৷অন্যদিকে মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকাটাও ইবাদত৷কারণ মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকতেও আল্লাহ আদেশ করেছেন৷
এখন আমরা যদি এভাবে ভালো কাজ করি ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকি তাহলে আল্লাহ রব্বুল আলামিনের সন্তুষ্টি অর্জন আমাদের পক্ষে সহজ হয়ে যাবে৷কেননা আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে তাঁর ইবাদত করার জন্যই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন৷আর উপরের আলোচনা থেকে এই কথা স্পষ্ট প্রতীয়মান যে সকল ভাল কাজ করা ও মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকাই আল্লাহর ইবাদত৷
এখন আমরা যদি সর্বাবস্থায় বিভিন্ন ভাল কাজ করি এবং মন্দ কাজ থেকে বিরত থাকি তাহলে চিন্তা করুন আমাদের জীবনটা কত সুখময় হয়ে যাবে৷
এখন আমাদের ভাল কাজের সঠিক সংজ্ঞা জানা প্রয়োজন৷কেবলমাত্র সেসব কাজই ভাল যা স্রষ্টা ভাল বলেছেন৷আর সেই সমস্ত কাজ কখনো ভাল হওয়া সম্ভব নয় যা আমাদেরকে স্রষ্টা আল্লাহ তা'আলা করতে নিষেধ করেছেন৷এমন অনেক কাজ রয়েছে যা আমার ভাল লাগলেও আপনার হয়ত ভাল লাগবেনা অথবা আপনার ভাল লাগলেও আমার ভাল লাগবেনা৷তাই কোন কাজটি প্রকৃতপক্ষে ভাল তা আমাদের সাধারণ জ্ঞান দ্বারা জানা সম্ভব নয়৷তাই কেবলমাত্র সেসব কাজকেই ভাল বলা যাবে যা আল্লাহ ভাল বলেছেন৷অন্যদিকে আল্লাহ তা'আলা যেসব কাজকে খারাপ বলেছেন তা-ই খারাপ৷কেননা আল্লাহ সব জানেন৷তিনিই প্রকৃত ভাল খারাপ নির্ণয়ের ক্ষমতা রাখেন৷
আল্লাহর সন্তুষ্টির মাধ্যমে কিভাবে আমরা সফল হতে পারি তা একটি উদাহরণের মাধ্যমে বোঝানো যায়৷যেমন ধরুন আল্লাহ তা'আলা মিথ্যা কথা বলতে নিষেধ করেছেন এবং সত্য বলতে বলেছেন৷এখন আমরা যদি মিথ্যা থেকে বিরত থাকি আর সত্য বলি তবে আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে পারব৷কারণ সত্য বলা আর মিথ্যা না বলা এই দুটো কাজই আল্লাহর ইবাদত৷আর এইভাবে আমরা যদি আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে সর্বাবস্থায় সত্য বলি ও মিথ্যা থেকে বিরত থাকি তাহলে আমরা অন্যান্য অপরাধ থেকেও বিরত হতে পারব৷আর এইভাবেই আমরা ভাল কাজ করে দুনিয়াতে মানুষের কাছে যেমন সমাদৃত হতে পারি ঠিক তেমনই আখিরাতেও সফলতা লাভ করতে পারি৷

Monday, August 7, 2017

'বাংলাদেশের কথিত নাস্তিকদের উদ্দেশ্য কি'

প্রথমেই বলেনি আমি এখানে 'কথিত নাস্তিক' বলতে কাদের বোঝাচ্ছি৷'কথিত নাস্তিক' বলতে আমি মূলত তাদেরই বোঝাচ্ছি যারা নিজেদেরকে 'নাস্তিক' বলে দাবী করলেও মূলত তারা ইসলামবিরোধী৷
বাংলাদেশে ব্লগে,ফেইসবুকে কিংবা অন্যকোনো মিডিয়ায় যারা নিজেদেরকে 'নাস্তিক' বলে দাবী করে তাদেরকে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় শুধু মাত্র ইসলামেরই বিরোধীতা করতে৷
নাস্তিক হচ্ছে শুধুমাত্র তারাই যারা কোনো ধর্মকেই বিশ্বাস করেনা৷কিন্তু যারা শুধুমাত্র একটি ধর্মের বিরোধীতা করে তারা নাস্তিক হয় কি করে?বাংলাদেশে যারা নিজেদের 'নাস্তিক' বলে শুধু তারা ইসলামের বিরোধী পক্ষ হয়ে কাজ করে৷
নাস্তিক বলতেতো কোনো ধর্মের বিরোধী বোঝায়না৷বরং ধর্মের প্রতি যাদের আস্থা নেই তারাই নাস্তিক৷
তাই বাংলাদেশে মূলত নাস্তিক নেই৷বরং রয়েছে ইসলামবিরোধী৷আর এই কথিত নাস্তিক তথা ইসলামবিরোধীদের মূল উদ্দেশ্য বাংলাদেশ থেকে মুসলিমদের উৎখাত করা৷
তাই এইসব কথিত নাস্তিকদের শাস্তির আওতায় আনা খুবই প্রয়োজন৷এরা ইসলাম,রাষ্ট্র ও সরকারের শত্রু এবং সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টিকারী৷

-------------------------------মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল

বাংলাদেশের মিডিয়া কাদের পক্ষপাতিত্ব করে


---------- Muhammad Ainan Iqbal ----------------
বর্তমান যুগে মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়৷কিন্তু মিডিয়াগুলো যখন বিশেষ কোনো গোষ্ঠী,দল বা মতের পক্ষে কাজ করে অথবা বিরুদ্ধে কাজ করে তখন সঠিক খবর পাওয়া কঠিন হয়ে ওঠে৷
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বর্তমানে বেশিরভাগ মিডিয়ায় বিশেষ কোনো গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের পক্ষপাতিত্ব করে৷আবার অনেক গোষ্ঠী বা সম্প্রদায়ের বিরোধীতা করে৷অর্থ্যাৎ নিরপেক্ষতা বিষয়টি বর্তমান মিডিয়া জগতে এককথায় নেই বললেই চলে৷
বাংলাদেশের বেশিরভাগ মিডিয়া সম্পর্কে অনেক মানুষের যে ধারণা ছিল তা থেমিস মূর্তিটি অপসারণের পর অনেকটাই পাল্টে গিয়েছে৷অধিকাংশ মানুষই ভাবত যে বাংলাদেশের বেশিরভাগ মিডিয়া সরকারের পক্ষেই কথা বলে৷অর্থ্যাৎ যখন যেই দল ক্ষমতাই থাকে সেই দলেরই পক্ষে কথা বলে৷কিন্তু গ্রীকের থেমিস মূর্তিটি অপসারণ এবং অন্যত্র পুনঃস্থাপনের পর মিডিয়া সম্পর্কে মানুষের ধারণা পাল্টানোর কথা৷কারণ প্রধানমন্ত্রীর নিজ উদ্যোগেই সেই মূর্তিটি অপসারিত হয়৷কিন্তু অপসারণের পর বেশিরভাগ মিডিয়া এই কাজের সম্পূর্ণ বিরোধীতা করেছে৷তারা মূর্তি অপসারণকে এই সরকারের রাজনৈতিক অপকৌশল হিসেবে অপপ্রচার করেছে৷অন্যদিকে গুটিকয়েক নাস্তিকের ক্ষোভ জানানোকে তারা বেশ ফলাওভাবে প্রচার করেছে৷এমনকি মূর্তি অপসারণে ইসলামী দলগুলোর উচ্ছাস প্রকাশকে বেশিরভাগ মিডিয়য় প্রকাশ করেনি৷আবার অনেকে বিষয়টিকে নেতিবাচকভাবে প্রকাশ করেছে৷
আবার মূর্তিটি পুনঃস্থাপনের বিষয়টি ঐসব মিডিয়া খুব ফলাওভাবে প্রচার করেছে যারা কিনা মূর্তিটি সরিয়ে ফেলার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল৷কিন্তু এসব মিডিয়া মূর্তি পুনঃস্থাপনে মুসলিমদের ক্ষোভ প্রকাশ করার বিষয়টি প্রচার করেনি৷সুপ্রীমকোর্টের সামনে মুসলিমদের আন্দোলন করার বিষয়টিও প্রকাশ করেনি৷এমনকি এইসব মিডিয়ায় গ্রীক মূর্তিটির সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া বক্তব্যও প্রকাশিত হয়নি৷
তাহলে আপনারা কি বাংলাদেশের মিডিয়াকে নিরপেক্ষ বলবেন?না৷আসলে বাংলাদেশের মিডিয়া নিরপেক্ষ নয়৷সরকারের পক্ষে কথা না বললেই যে মিডিয়াগুলো নিরপেক্ষ হয়ে যাবে এমন কোনো কথা নেই৷বিবেচনা করলে বুঝতে পারবেন এদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়া সংখ্যালঘু নাস্তিকদেরই পক্ষপাতিত্ব করছে৷যতক্ষণ সরকার নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যাবেনা ততক্ষণ তারা সরকারের পক্ষে কথা বলে৷আর সরকার যদি নাস্তিকদের বিরুদ্ধে যাই তারা সরকারের সমালোচনা এমনকি সরকারকে নিয়ে মিথ্যা অপবাদও দেয়৷এইসব মিডিয়া শুধু যে নাস্তিকদের পক্ষপাতিত্ব করছে তা নয় বরং ইসলামের বিরোধীতাও করছে৷
এই দেশে নাস্তিকরা সংখ্যালঘু হওয়ার পরও সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়া নাস্তিকদের পক্ষে কাজ করার কারণও রয়েছে৷কারণ নাস্তিকরা যদিও সংখ্যালঘু কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মিডিয়ায় পরিচালনা করে নাস্তিকরা৷অনেক সুবিধাবাদী গোষ্ঠী রয়েছে যারা কিনা নাস্তিকদের কাজ থেকে সুযোগ সুবিধা পাওয়ার উদ্দেশ্যেই নাস্তিকদের পক্ষপাতিত্ব করে৷
এখন মুসলিমদের করণীয় হচ্ছে মিডিয়া পরিচালনায় উদ্যোগী হওয়া৷আল্লাহ যেন নাস্তিক্যবাদী মিডিয়ার অপপ্রচার থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করেন এই দু'আ কামনা করি৷

Tuesday, July 25, 2017

'আধুনিক সংস্কৃতি বলতে কিছু নেই,সবই আইয়ামে জাহেলিয়াতের পুনরাবৃত্তি'



প্রায় ১৪০০ বছর আগে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম মহামানব,ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মনীষি,মহান আল্লাহর পবিত্র রসূল হযরত মুহাম্মাদ(সঃ) এই পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন৷তখনকার সময়ে এই পৃথিবীকে ঘিরে ছিল নানান ধরণের কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস৷মানুষ হয়েছিল পথভ্রষ্ট৷এক খোদার উপাসনা ছেড়ে হয়েছিল বহু খোদার পূজারী৷নারী নির্যাতন,খুন,ধর্ষণ ইত্যাদি ছিল  খুবই সাধারণ ঘটনা৷ইতিহাসবিদগণ এই যুগকে 'জাহেলিয়াতের যুগ' বা 'আইয়ামে জাহেলিয়াত' বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷আর এমনই এক সময়ে পৃথিবীর বুকে আলোর মশাল নিয়ে হাজির হন মহান আল্লাহর পবিত্র দূত৷
মাত্র ২৩ বছরে আরবসহ পুরো পৃথিবীতে সংগঠিত হয় এক অভিনব পরিবর্তন৷সমাজে প্রচলিত সকল কুসংস্কার আর অন্ধবিশ্বাস দূর হয় ইসলামী বিপ্লবের মাধ্যমে৷দূর হয় মূর্তিপূজা,মানবপূজা আর সকল প্রকার ধর্মের নামে অন্ধভক্তি৷প্রতিষ্ঠিত হয় মহান আল্লাহর দ্বীন ইসলাম৷
কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় আজ মানুষ আবার সেই অন্ধকার যুগের দিকে ধাবিত হচ্ছে৷ইসলামী সংস্কৃতির বিপরীতে আধুনিক সংস্কৃতির নাম দিয়ে অপসংস্কৃতি প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে৷মানুষের ভেতরের পশুত্ব প্রকাশিত হচ্ছে৷নানা ধরণের অপরাধ হয়ে ওঠেছে এখনকার সময়ের নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা৷এককথায় বলতে গেলে আইয়ামে জাহেলিয়তের পুনরাবৃত্তি ঘটছে বর্তমান সময়ে৷আজ বেশিভাগ মানুষই শুধু নামে মুসলিম৷ইসলামের প্রকৃত অনুসারীর সংখ্যা বর্তমান পৃথিবীতে খুব কম৷কুফর,শিরক,বিদাআতসহ আইয়ামে জাহেলিয়াতের মতো নিত্যনতুন কুসংস্কার গড়ে ওঠছে চারদিকে৷
আল্লাহ আমাদের সবাইকে রক্ষা করুক৷-আমীন

সকল কাজের মূলেই যেন থাকে খোদার সন্তুষ্টি অর্জন

লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল আপনারা হয়তো মুসলিম জাহানের ৪র্থ খলিফা হযরত আলী ইবনে আবু তালিবের (রাঃ) সেই ঘটনাটি শোনেছেন। একদা যুদ্ধের ময়দান...