Wednesday, January 22, 2020

ধর্ষণ বন্ধ হচ্ছে না কেন!

যে যতই থিওরি দিয়ে ধর্ষণ বন্ধ করার চেষ্টা করুক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত কুরআনের নির্দেশনা না মানা হবে ততক্ষন পর্যন্ত কোনোভাবেই ধর্ষণ বন্ধ করা সম্ভব নয়। চলুন দেখি, ধর্ষণসহ সকল প্রকার জিনা বন্ধে কুরআনের সাধারণ কি নির্দেশনা রয়েছে।

আল্লাহ তা'আলা পবিত্র কুরআন মাজীদে সূরা নূরের ৩০ নং আয়াতে বলছেন, 'হে নবী! মুমিনদের (পুরুষ) বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। এতেই তাদের জন্য পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা করে, আল্লাহ তা সম্পর্কে অবহিত আছেন।' 
(সূরা নূর, ৩০)

এখানে পুরুষদেরকে আল্লাহ তা'আলা দৃষ্টি নত রাখতে বলেছেন। অর্থ্যাৎ যেসব নারীদের দিকে পুরুষদের দৃষ্টি দেয়া জায়েজ নেই, তাদের দিকে না তাকাতে বলেছেন এবং পাশাপাশি লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে বলেছেন। এখন পুরুষরা যদি কুরআনের এই নির্দেশনা পালন না করে, তাহলে ধর্ষণ বন্ধ হবেনা।

আর ধর্ষণসহ সকল প্রকার জিনা বন্ধে কুরআনে নারীদের প্রতিও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'হে নবী! আপনি আপনার স্ত্রীগণকে, কন্যাগণকে ও মুমিনদের নারীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে দেয়। এতে তাদের চেনা সহজ হবে। ফলে তাদের উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।'
(সূরা আহযাব, ৫৯)

আরও বলা হয়েছে, 'হে নবী! মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখে ও তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করে। তারা যেন সাধারণত যা প্রকাশ থাকে তা ছাড়া নিজেদের আভরণ প্রদর্শন না করে।'
(সূরা নূর, ৩১)

এখানে নারীদের দৃষ্টিও সংযত রাখার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি হিজাব পালনের কথা বলা হয়েছে।

উপরে উল্লিখিত আয়াত ছাড়া জিনা বন্ধ করতে কুরআন ও হাদীসে আরও অনেক আলোচনা রয়েছে। তবে আমি মনে করি, ধর্ষণসহ সকল প্রকার জিনা বন্ধের মূল নির্দেশনা এই আয়াতগুলোর ভেতরেই রয়েছে। এখন আপনারা বলুন, বাংলাদেশের নারী বা পুরুষের মধ্যে কয়জন এই আয়াতগুলোর নির্দেশনা মেনে চলে! আর যতদিন সমাজে কুরআনের আয়াতের নির্দেশনার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন না হবে ততদিন ধর্ষণও বন্ধ হবে না। চলুন আজ থেকে আমরা নিজেরা পর্দা মেনে চলি এবং অপরকে উদ্বুদ্ধ করি। 

এখন একদল লোক বলবে, 'ভাই, এই আয়াতগুলোর নির্দেশনার বাস্তবায়নই যদি সমাধান হয় তাহলে শিশুরা এবং বৃদ্ধারা কেন ধর্ষণের শিকার হয়? পর্দা করা নারী কেন ধর্ষণের শিকার হয়?'
এসব প্রশ্নের উত্তর একদম সোজা। ধরুন, আপনি এক কাপ চা বানাতে দুধ, চিনি দিলেন। কিন্তু চা পাতা দিলেন না। তাহলে কি চা হবে! হবে না। অতএব, সমাজের কিছুসংখ্যক নারী-পুরুষ কুরআন মেনে চললো, আর বিরাটসংখ্যক নারী-পুরুষ কুরআন ধরলোই না, এভাবে ধর্ষণ বন্ধ হবে না। বরং সমাজের প্রত্যেক নারী-পুরুষকে পর্দা মেনে চলতে হবে। নয়তো শিশু,বৃদ্ধা কিংবা পর্দা করা নারী কেউই ধর্ষণ থেকে রক্ষা পাবেনা।

- Ainan

Saturday, January 18, 2020

মানুষকে ভালোবাসুন, আল্লাহ তা'আলা আপনাকে ভালোবাসবেন

যখন আপনার রক্ত লাগে তখন কি আপনি দেখেন, যে ব্লাড ডোনার আপনাকে রক্ত দিচ্ছে সে কোন মতাদর্শের! না। দেখেন না। আর রক্তদাতাও যদি আপনার মতাদর্শ বিবেচনা করতেন, তাহলে হয়তো আপনাকে আর রক্ত দেয়া হতো না তার। মতাদর্শ, ধর্ম ইত্যাদির ভিন্নতার জন্য কখনোই মানুষকে ঘৃণা করা যাবেনা। রসূলুল্লাহর(সঃ) আদর্শ ছিল মানুষকে ভালোবাসা সে যে মতাদর্শেরই হোক না কেন। 

হাদীসে এসেছে, হযরত সাহল ইবনে হুনাইফ ও হযরত কায়েস ইবনে সা'দ (রাঃ) একদিন বসা ছিলেন। তারা তখন কাদিসিয়ায় থাকেন। পাশ দিয়ে একটি লাশ নেয়া হচ্ছিল। তা দেখে তারা দুজনই দাঁড়ালেন। উপস্থিত লোকেরা তাদেরকে জানাল, 'এ এক অমুসলিমের লাশ।' তাঁরা তখন শোনালেন, রসূলুল্লাহর (সল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পাশ দিয়েও একবার এক লাশ নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। তিনি যখন তা দেখে দাঁড়ালেন, উপস্থিত সাহাবায়ে কেরাম তখন বললেন, 'এ তো ইহুদির লাশ।' রসূলুল্লাহ (সল্লল্লহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাদেরকে জিজ্ঞেস করলেন, أليست نفسا অর্থাৎ 'সে মানুষ  ছিল তো?' 
(সহীহ বুখারী, হাদীস : ১৩১২)

রসূল(সঃ) কোনো মানুষকে ঘৃণা করতেননা সে যে ধর্মেরই হোকনা কেন। রসূলের(সঃ) জীবনে এরকম আরও অনেক ঘটনা আছে। যেখানে রসূলই(সঃ) মানুষকে ভালোবাসার ক্ষেত্রে তার মত-পথ দেখেননি। সেখানে আমরা কিভাবে মতপার্থক্যের কারণে মানুষকে ঘৃণা করতে পারি!
  
 - Ainan

Sunday, December 1, 2019

আওলাদে রসূল (সঃ) এবং আহলে বায়াতে রসূল (সঃ) নিয়ে ভন্ডামি এবং একটি হাদীসের অপব্যাখ্যা

আমাদের প্রথমত 'আওলাদে রসূল' এবং 'আহলে বায়াতে রসূল', এই দু'টো শব্দের পার্থক্য জানতে হবে। সোজা কথায়, আওলাদে রসূল (সঃ) বলতে রসূলুল্লাহর (সঃ) বংশধরকে বোঝায়। অন্যদিকে আহলে বায়াতে রসূল (সঃ) বলতে রসূলুল্লাহর (সঃ) পরিবারবর্গকে বোঝায়। প্রিয়নবীর (সঃ) পরিবারে যাঁরা ছিলেন অর্থ্যাৎ পরিবারের সদস্যরাই কেবল হযরতের আহলে বায়াতের অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে 'আওলাদে রসূল' বলতে রসূলের (সঃ) বংশধরকে বোঝায়। অতএব, এই দু'টি শব্দই সম্পূর্ণ আলাদা। যেমন : হযরত আয়েশা (রাঃ) রসূলে করিমের (সঃ) বংশধর বা আওলাদে রসূল (সঃ) নন, কিন্তু তিনি আহলে বায়াতে রসূলের (সঃ) অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে বর্তমানে কেউ যদি সত্যিই আওলাদে রসূল (সঃ) হন, তবে তিনি আহলে বায়াতে রসূলের (সঃ) অন্তর্ভুক্ত হবেন না। কেননা তিনি রসূলের বংশধর হতে পারেন, কিন্তু পরিবারের সদস্য নন। তিনি রসূলের (সঃ) যেই পরিবার ছিল, সেখানে ছিলেন না।

আওলাদে রসূল (সঃ) সম্পর্কে কোনো হাদীস নেই। কিন্তু আহলে বায়াতে রসূল (সঃ) সম্পর্কিত হাদীস রয়েছে। এমনই একটি উল্লেখযোগ্য হাদীস হলো, 
"হযরত আবু যর (রাদ্বিয়াল্লাহু তাআলা আনহু) হতে বর্ণিত,
তিনি পবিত্র ক্বাবা ঘরের দরজা হাত
দিয়ে ধরা অবস্থায় বলেন, আমি নবীয়ে পাককে
(সল্লল্লহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলতে শুনেছি, তোমাদের মধ্যে আমার
আহলে বায়াতের দৃষ্টান্ত হযরত নুহ্ (আলাহিস সালামের)
জাহাজের মত । যে এতে আরোহন
করেছে সে মুক্তি পেয়েছে, আর যে এটা থেকে মুখ
ফিরিয়ে নিয়েছে, সে ধ্বংস হয়েছে।"
(মুসনাদে ইমাম
আহমদ : সুত্র : মিশকাত শরীফ ৫৭০ পৃষ্ঠা) 

বর্তমানে আমাদের সমাজে বেশিরভাগ ভন্ডরাই নিজেদেরকে বা তার ভক্তরা তাকে আওলাদে রসূল (সঃ) দাবী করে এবং এই হাদীসকে উদাহরণ হিসেবে টেনে বলে যে তারা হাদীস অনুযায়ী নিজেদের মুক্তির জন্য আওলাদে রসূলকে (সঃ) অনুসরণ করছে। অথচ হাদীসে আওলাদে রসূলকে (সঃ) অনুসরণ করতে বলা হয় নি, বরং রসূলের (সঃ) আহলে বায়াতের মর্যাদার কথা বলা হয়েছে। আর আহলে বায়াত আর আওলাদে রসূলের (সঃ) মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে যা উপরের আলোচনা থেকে প্রতীয়মান। অতএব, কেউ যদি 'আওলাদে রসূল' দাবী করে ভন্ডামি করে তবে আমরা তাকে অনুসরণ করবনা বরং আহলে বায়াতে রসূলের (সঃ) পথ অনুসরণ করব। 

পোস্টটি শেয়ার করুন এবং ভন্ড, মাজার পূজারীদের রুখে দিন। ধন্যবাদ।

- Ainan

Saturday, June 15, 2019

ইসলামের আলোকে খেলাধুলা (বিশেষ করে ক্রিকেট, ফুটবল)

--- মুহাম্মাদ ইনান ইকবাল
একশ্রেণির মানুষ প্রচার করছে যে ইসলামে খেলাধুলা হারাম। এক্ষেত্রে তারা বিশেষত ক্রিকেট, ফুটবলের কথায় উল্লেখ করে। এই বিষয়ে সবসময় লিখার কথা আমার মাথায় থাকে। কারণ খেলাধুলা(ক্রিকেট, ফুটবল প্রভৃতি) ইসলামে হারাম নয় এই ব্যাপারে আমার কাছে প্রচুর প্রমাণ আছে। যারা এটার বিরুদ্ধে কথা বলে তারা কিন্তু খেলাধুলা হারাম হওয়ার পক্ষে কোনো যুক্তিই দেখায় না। শুধু বলে যে, খেলাধুলার কারণে সময়ের অপচয় হয়, খেলাধুলা করা বাজে কাজ।
প্রথমে তাদের যুক্তিগুলো খন্ডন করি চলুন। খেলাধুলা ক্রিকেট বা ফুটবল খেলা করা কি আসলেই সময়ের অপচয়? উত্তর হলো, "না।" কারণ যারা খেলাধুলা করেন তারা এটাকে পেশা হিসেবেই নেন। অনেকটা তাদের কাছে খেলাধুলা অফিসের চাকরি করার মতো। এখন কি বলবেন যে চাকরি করা হারাম বা এটার কারণে সময়ের অপচয় হয়! তবে শালীনতা এবং শ্লীলতার বিষয়গুলো মাথায় রেখেই খেলাধুলা করতে হবে। যেমনটা করেন হাশিম আমলা, মুশফিকুর রহীম কিংবা মোহাম্মদ আলীরা।
দ্বিতীয়ত, খেলাধুলা করা বাজে কাজ নয়। কারণ খেলাধুলা বর্তমানে শুধু বিনোদনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং একটি দেশ ও জাতিকে বিশ্বের মাঝে সমুন্নত হতে হলে, সেই দেশ বা জাতিকে অবশ্যই ক্রিকেট ও ফুটবল খেলায় এগিয়ে থাকতে হবে। আপনি কি জানেন শুধু সাকিবের কারণেই বাংলাদেশকে অনেক দেশের মানুষ চেনে? যদি মেসি, নেইমাররা না থাকতো অথবা বিশ্বকাপ ফুটবল না হতো হয়ত আমরা কখনো আর্জেন্টিনা বা ব্রাজিলকে চিনতামই না। অতএব, খেলাধুলা কখনো কখনো আন্তর্জাতিক মহলে একটি দেশ ও জাতিকে পরিচয়ও করিয়ে দেয়।
উপরের লিখা হতে মোটামুটি এতটুকু নিশ্চিত যে খেলাধুলা(ক্রিকেট, ফুটবল প্রভৃতি) করা কোনো অনর্থক কাজ নয় এবং এটির কারণে সময়ের অপচয় হয় না।
এবার চলুন দেখে আসি পবিত্র কুরআনুল মাজীদ ও হাদীস শরীফে খেলাধুলার ব্যাপারে কি বলা হয়েছে।
১২. (ইউসুফের (আঃ) ভাইয়েরা তাদের পিতাকে বলল) "আপনি আগামীকাল তাকে (ইউসুফকে (আঃ)) আমাদের সঙ্গে পাঠিয়ে দিন, সে তৃপ্তিসহকারে (ফলমূল) খাবে এবং (খোলা প্রান্তরে) খেলাধুলা করবে। আমরা অবশ্যই তার রক্ষণাবেক্ষণ করব।"
(সুরা : ইউসুফ, আয়াত : ১২)
ইউসুফের (আঃ) ভাইয়েরা পিতার সঙ্গে প্রতারণা করে তাঁকে দূরে কোথাও নিয়ে যাওয়ার ফন্দি খোঁজে। তারা তাদের পিতাকে বলল, আগামীকাল আমরা মাঠে পশু বিচরণ করাতে যাব। আমাদের সঙ্গে ইউসুফকে দিয়ে দিন। জঙ্গলে গিয়ে সে বিভিন্ন ধরনের ফলমূল খাবে, আমাদের সঙ্গে খেলাধুলা করবে। ইউসুফের কোনো ক্ষতি হবে না। আমরাই তাঁর রক্ষণাবেক্ষণ করব। পরে ইয়াকুব (আঃ) ইউসুফ (আঃ)-কে তাদের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। কেননা শরিয়তের সীমারেখা মেনে শরীরচর্চা ও খেলাধুলা করা হলে তা অবৈধ নয়। যদি অবৈধ হতো তবে হযরত ইয়াকুব (আঃ) কি অনুমতি দিতেন! কখনোই দিতেননা।
মানুষের স্বভাব হলো, অবিরাম কাজ করার ফলে সে ক্লান্ত হয়ে ওঠে।
ক্লান্তি দূর করতে প্রয়োজন একটু বিনোদনের। যেন নবোদ্যমে কাজ শুরু করা যায়। ইসলাম মানুষের স্বভাবগত ধর্ম। তাই ইসলাম বৈধ পন্থায় প্রশান্তি ও প্রফুল্লতা লাভ করার যাবতীয় পথ উন্মুক্ত রেখেছে। স্বয়ং রসুল (সঃ)-এর জীবনে এর প্রতিফলন দেখা যায়। একবার কৃষ্ণাঙ্গ কিছু লোক মসজিদে নববীর সামনে যুদ্ধের মহড়া দিচ্ছিল, তখন রসুল (সঃ) আয়েশাকে (রাঃ) জিজ্ঞেস করেন, তুমি কি তাদের মহড়া দেখতে যাবে? আয়েশা (রাঃ) হ্যাঁ সূচক জবাব দেন। রসুল (সঃ) ঘরের দরজায় আয়েশাকে (রাঃ) চাদর দিয়ে আড়াল করে দাঁড়িয়ে যান। আর আয়েশা (রাঃ) রসুলের পেছনে দাঁড়িয়ে তাঁর কাঁধ ও কান মুবারকের মধ্যবর্তী ফাঁকা জায়গা দিয়ে তাদের মহড়া দেখতে থাকেন। আয়েশা (রাঃ) নিজে থেকে প্রস্থান না করা পর্যন্ত রসুল (সঃ) এভাবেই দাঁড়িয়ে ছিলেন। (বুখারি, হাদিস : ৫১৯০)
এই হাদীস থেকে বলা যায়, শুধু খেলাধুলা করাই বৈধ নয়, বরং বিনোদনের জন্য দেখাও যায়।
রসুলুল্লাহ (সঃ) ইরশাদ করেন, " তোমরা মাঝেমধ্যে বৈধ বিনোদন, খেলাধুলা কিংবা অন্য কোনো বৈধ উপায়ে হৃদয়কে বিশ্রাম ও আরাম দেবে। " (আবু দাউদ)
এই হাদীসটাতে স্পষ্টভাবেই বৈধ পন্থায় বিনোদনের উপদেশ দেয়া হয়েছে।
আরেকটি কথা হলো খেলাধুলা করা ও উপভোগ করা যাবে শরীয়তের সীমারেখায়। যেমন : ফুটবল খেলাটা জায়েজ হলেও পরিহিত কাপড় শরীয়ত সম্মত নয়। তবে ক্রিকেটে এই ব্যাপারে খেলা করা ও কাপড় উভয়টিই সঠিক।
খেলাধুলা ও বিনোদনের ক্ষেত্রে শালীনতা বজায় রাখতে হবে। মহান আল্লাহ বলেন, " যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে, তাদের জন্য আছে দুনিয়া ও আখিরাতে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। " (সুরা : নূর, আয়াত : ১৯)
যারা খেলাধুলা অপছন্দ করে তারা কুরআনের নিম্মোক্ত আয়াতটির কথা বলে বিরোধিতা করতে পারে।
তা হলো,
"একশ্রেণির লোক এমন আছে, যারা অজ্ঞতাবশত মানুষকে আল্লাহর পথ থেকে গোমরাহ করার উদ্দেশ্যে লাহওয়াল হাদিস তথা অবান্তর কথাবার্তা ক্রয় করে এবং তা নিয়ে ঠাট্টাবিদ্রূপ করে। তাদের জন্য রয়েছে অবমাননাকর শাস্তি। " (সুরা : লোকমান, আয়াত : ৬)
বেশির ভাগ সাহাবি, তাবেঈ ও তাফসিরবিদ এ আয়াতে উল্লিখিত 'লাহওয়াল হাদিস'-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন, গান-বাজনা, বাদ্যযন্ত্র, কিসসা-কাহিনীসহ যেসব বিষয় মানুষকে আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফিল করে দেয়, সেগুলো "লাহওয়াল হাদিস"-এর অন্তর্ভুক্ত। (মা’আরেফুল কোরআন : ৭-৮)
কিন্তু ক্রিকেট বা ফুটবল লাহওয়াল হাদিসের অন্তর্ভুক্ত নয়।
ক্রিকেটের ক্ষেত্রে নিজ দেশের জয়ের জন্য ' ইনশাআল্লাহ ', জয় লাভ করলে ' আলহামদুলিল্লাহ ' বললেও কোনো সমস্যা নেই অথবা যেকোনো মুসলিম দেশের জয়ে এরকম অভিব্যক্তি ব্যক্তও করা যায়। কারণ এতে করে বিশ্বের কাছে নিজ দেশের ও জাতির মর্যাদা সমুন্নত হয়।
আর হালাল কোনো কাজে এই ধরণের অভিব্যক্তি প্রকাশে কোনো গুনাহ নেই।
আমার নানু এই ব্যাপারে সংক্ষেপে বলেন, " সতর্কতার সাথে, শরীয়ত সম্মত উপায়ে খেলাধুলা করা বৈধ। "
এছাড়া উনার কাছে শুনেছি হযরতের দাদা আল্লামা জমীরউদ্দীন আহমদ চাটগামী(রহঃ) (হাটহাজারী বড় মাদ্রাসার পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠাতা) একবার রেঙ্গুনে গেলে কুস্তি খেলা উপভোগ করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাদেরকে। সময় করে লিখাটি পড়ার জন্য। লিখাটি কপি না করে শেয়ার করুন।
পরিশেষে বলতে চাই, আলহামদুলিল্লাহ বাংলাদেশ ক্রিকেটে এখন অনেক এগিয়ে। ইনশাআল্লাহ এবার বাংলাদেশ বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হবে। ইনশাআল্লাহ পরের ম্যাচে ইন্ডিয়া হারবে।

Saturday, April 20, 2019

লাইলাতুল বারাআত প্রসঙ্গে

--- মুহাম্মাদ ইনান ইকবাল

লাইলাতুল বারাআতের পরের দিন রোজা রাখার কথা রয়েছে। এই রাতে সাধ্যমতো ইবাদত করার কথা রয়েছে। তবে নির্দিষ্ট করে এই রজনীর কোনো নামাজ নেই।

এই পবিত্র রাত সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ হাদীসমূহ :-

হযরত আয়েশা (রঃ) থেকে বর্ণিত একটি হাদীসে রয়েছে, "আমি এক রাতে মহানবীকে (সঃ) বিছানায় পেলাম না। তাই আমি অত্যন্ত পেরেশান হয়ে খোঁজাখুঁজি আরম্ভ করলাম। খুঁজতে খুঁজতে দেখি, তিনি জান্নাতুল বাকীর মধ্যে মহান আল্লাহর প্রার্থনায় মগ্ন। তখন তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, হে আয়েশা! আমার নিকট হযরত জিবরাইল (আঃ) উপস্থিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, আজ রাত হল নিসফে শাবান অর্থাৎ, লাইলাতুল বারাআত। এ রাতে আল্লাহ তা'আলা অধিক পরিমাণে জাহান্নামবাসী লোকদেরকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। এমনকি কালব বংশের বকরীগুলোর লোম সমপরিমাণ গুনাহগার বান্দা হলেও।" [মিশকাত শরীফ-১১৫ পৃ ]

মুয়াজ ইবনে জাবাল (রঃ) বলেন, "রসূল (সঃ) বলেছেন, শাবান মাসের মধ্য রাতে আল্লাহ তা’আলার সৃষ্টির দিকে রহমতের দৃষ্টি দেন, মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যক্তি ব্যতিত অন্য সকলকে তিনি ক্ষমা করেন।" [আলবানী : সহীহাহ/৩]

হযরত সাইয়্যিদুনা আলী মুরতাদ্বা রাদ্বিয়াল্লাহু তা‘আলা আনহু থেকে বর্ণিত, নবী করিম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মহান বাণী, "যখন শাবানের ১৫তম রাতের আগমন ঘটে তখন তাতে কিয়াম (ইবাদত) করো আর দিনে রোযা রাখো । নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলা সূর্যাস্তের পর থেকে প্রথম আসমানে বিশেষ তাজাল্লী বর্ষণ করেন এবং ইরশাদ করেন, "কেউ আছ কি আমার নিকট ক্ষমা প্রার্থনাকারী? তাকে আমি ক্ষমা করে দিব। কেউ আছ কি জীবিকা প্রার্থনাকারী? তাকে আমি জীবিকা দান করব। কেউ কি আছ মুসিবতগ্রস্ত? তাকে আমি মুক্ত করব। কেউ এমন আছ কি? কেউ এমন আছ কি? এভাবে সূর্য উদয় হওয়া পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদেরকে ডাকতে থাকবেন।" [সুনানে ইবনে মাযাহ, ২য় খন্ড, পৃঃ ১৬০, হাদিস নং-১৩৮৮]

Tuesday, February 6, 2018

ইসলামের দৃষ্টিতে টেরট কার্ড পড়া কি জায়েজ?

টেরট কার্ড বলতে এমন কতগুলো প্রাচীন কার্ডকে বুঝায় যেগুলো পড়ে ভবিষ্যত জানা যায় এবং গায়েবী জানা যায় বলে একশ্রেণীর মানুষ বিশ্বাস করে।
ইসলামে টেরট কার্ড পড়া সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।কারণ ইসলামের অালোকে অদৃশ্য বা গায়েবী সম্পর্কে এবং ভবিষ্যতে কি হতে পারে সেই সম্পর্কে একমাত্র অাল্লাহ তা'অালা ব্যতীত কেউ জানতে পারেনা।
আল্লাহ তা'অালা বলেন :-
ﻗُﻞْ ﻟَﺎ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻣَﻦْ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﻭَﺍﺕِ ﻭَﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﺍﻟْﻐَﻴْﺐَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪُ
অর্থ : "আপনি বলুন, একমাত্র আল্লাহ ব্যতীত আসমান ও জমিনের কেউ অদৃশ্যের সংবাদ জানেন না।"(সূরা নামল : ৬৫)
অন্য এক আয়াতে অাল্লাহ তা'অালা বলেন, "নিশ্চয়ই কিয়ামতের জ্ঞান একমাত্র আল্লাহর কাছেই রয়েছে। তিনিই বৃষ্টি বর্ষণ করেন এবং জরায়ুতে কী আছে তা তিনিই জানেন। কেউ জানে না আগামীকাল সে কী উপার্জন করবে এবং কেউ জানে না কোথায় তার মৃত্যু ঘটবে। আল্লাহ সর্বজ্ঞ। সব বিষয়ে অবহিত"(সূরা লোকমান : ৩৪)
অতএব,টেরট কার্ডের মাধ্যমে মানুষ ভবিষ্যত ও গায়েবী জানতে পারে,এরকম বিশ্বাস করা উপরের অায়াতসমূহের সম্পূর্ণ পরিপন্থী।

এজন্য অদৃশ্য ও অজানা বিষয়ের কেউ দাবি করতে পারবে না এবং যারা দাবি করে তাদের ধারে-কাছেও যাওয়া যাবে না। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন,"যে ব্যক্তি গণকের কাছে ভবিষ্যতের কোনো বিষয়ে জানতে চায়, চল্লিশ দিন পর্যন্ত তার কোনো নামাজ আল্লাহর দরবারে কবুল হবে না।"
অন্য এক হাদিসে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, "যে ব্যক্তি গণকের কাছে যায় এবং তার কথা বিশ্বাস করে, সে যেন রাসুল (সা.)-এর আনীত ইসলামকে অবিশ্বাস করল।"
যে ব্যক্তি ভাগ্যগণনা করে,মানুষের ভবিষ্যত বলার দাবী করে তাকেই গণক বলে।টেরট কার্ড রিডাররাও ভাগ্য গণনা করে,মানুষের ভবিষ্যত বলে।অতএব,তারাও গণক।অতএব,তাদের কাছে গিয়ে ভবিষ্যত জানতে চাইলে চল্লিশ দিন পর্যন্ত সালাত যেমন কবুল হবে না তেমনি তাদের কথা বিশ্বাস করলে ঈমানও থাকবেনা।
------------  মুহাম্মাদ অাইনান ইকবাল

Friday, November 17, 2017

দুই হাজার একশো সতের সালের একদিন


২১১৭ সাল...
(বিজ্ঞান এখন অনেক উন্নত।মানুষের জীবন অনেক সহজ হয়ে গিয়েছে।অামি গল্পে ২১১৭ সালের একটি দিনের কথা বর্ণনা করছি।)
জাবের অাজ ঘুম থেকে দেরি করে উঠল।কারণ অাজ ছুটির দিন।অফিস বন্ধ।
তাই সে ব্রেইনফোন দিয়ে তার বন্ধু রাকিবের সাথে যোগাযোগ করল।রাকিবকে সে অাজ তার বাসায় অাসতে বলল।
জানি অাপনারা ভাবছেন,ব্রেইনফোন অাবার কি।ব্রেইনফোন হলো নব্য অাবিষ্কৃত এমন একটি যোগাযোগ করার যন্ত্র যার মাধ্যমে অাপনি কি ভাবছেন তা অাপনার বন্ধুকে দূর থেকে বুঝাতে পারেন।এক্ষেত্রে দু'পক্ষে দু'টি যন্ত্র (যার মধ্যে একটি হলো প্রেরক ও অারেকটি গ্রাহক যন্ত্র) প্রয়োজন।অার এই যন্ত্রের মাধ্যমে অাপনি যার সাথে যোগাযোগ করতে চান তার নির্দিষ্ট চার ডিজিটের নম্বর অাপনার যন্ত্রটিতে টাইপ করতে হবে।
যাই হোক,রাকিব এল।রাকিবকে দেখে জাবেরও অনেক খুশি।বলে রাখা ভালো যে রাকিব অার জাবের ছুটির দিনে কোনো না কোনো বিষয়ে অালোচনা করে।তাই অাজও তার ব্যতিক্রম হলোনা।খাওয়া-দাওয়া শেষ করে তারা চিন্তা করেছে অাজ একটু ভিন্নধর্মী বিষয় নিয়ে অালোচনা করবে।তাদের অাজকের অালোচনার টপিক : 'একুশ শতকের বিজ্ঞান'।
রাকিব জাবেরকে  বলল,"ইতিহাস থেকে যতটুকু জানা যায়,একুশ শতকের মানুষেরা বিজ্ঞান বিষয়ে অনেক অাগ্রহী ছিলেন এবং অনেক কিছু অাবিষ্কারও করেছিলেন।কিন্তু হাস্যকর ব্যাপার হলো,তাদের অনেকেই ভাবতেন যে তারা বিজ্ঞান বিষয়ে প্রায় জ্ঞানই অর্জন করে ফেলেছেন।তারা নিজেদেরকে অাধুনিক বিশ্বের মানুষ বলেও দাবী করতেন।"
জাবের হেসে বলল,"তারা যদি এত অাধুনিক হতেন তাহলে অাজকের মানুষেরা কি!"
জাবের অারও বলল,"অাসলে একুশ শতকে অনেক কিছু অাবিষ্কার হয়ে ছিল ঠিক।তবে তাই বলে একুশ শতককে অত্যাধুনিক বলা যায়না।"
রাকিব বলল,"একদম ঠিক কথা।শুনেছি তারা নাকি যোগাযোগের জন্য একটি যন্ত্র ব্যবহার করতেন যার নাম ছিল মোবাইল।এটার গঠন প্রকৃতি নাকি অামাদের অাজকের ব্রেইনফোনের মতো ছিল।কিন্তু কার্যকারিতা ব্রেইনফোন থেকে অালাদা।এই সম্পর্কে তোর কি মতামত?"
জাবের : হ্যা দোস্ত।কিন্তু যন্ত্রটার কথা শুনে অামার কেমন জানি অাজব অাজব লাগে।অাচ্ছা তুই কি তাদের সম্পর্কে অারেকটি মজার কথা জানস?
রাকিব : না।কি?
জাবের : তাদের মধ্যে নাকি কোনো কোনো মানুষ  ছিল যারা অাল্লাহকে অস্বীকার করত!
রাকিব : কি বলছ!তারা এতই পাগল ছিল।
জাবের : সবাই না।তবে কিছু কিছু মানুষ ছিল যারা কিনা ভাবত অাল্লাহ বলতে কিছু নেই।অারও হাস্যকর ব্যাপার হলো তারা নাকি ভাবত তারা নিজে নিজেই সৃষ্টি হয়েছে।ঐ গুটিকয়েক পাগলগুলা নাকি ভাবত তারা বানর থেকে মানুষে পরিণত হয়েছে।তারা নাকি 'বিবর্তনবাদ' নামক একটি কল্পকাহিনীতেও বিশ্বাস করত।অার এই কল্পকাহিনীর মূল কথা ছিল যে অনেক প্রাণী বিবর্তনের মাধ্যমে অন্য প্রাণীতে পরিণত হয়েছে।যেমন : বানর থেকে মানুষ।
রাকিব : হা হা।কি বলছ!এমন পাগলও পৃথিবীতে ছিল!
জাবের : হ্যা বন্ধু।অাবার এরাই নাকি নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক বলে দাবী করতো।তারা নাকি অাবার অাল্লাহর বিধানকেও অস্বীকার করতো।
রাকিব : অাহারে!তখনের এই মানুষগুলা কতই না অজ্ঞ অার অশিক্ষিত ছিল।যারা একদিকে নিজেদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক দাবী করতো অন্যদিকে স্রষ্টার অস্তিত্বকে পর্যন্ত অস্বীকার করত।কিন্তু বাইশ শতকের এই অাধুনিক অথচ গতিশীল বিশ্বেতো স্রষ্টাকে অস্বীকার করা সম্পূর্ণ অবৈজ্ঞানিক।অাজকের বিজ্ঞান বলে অাল্লাহ ছাড়া দুনিয়া সৃষ্টিই অসম্ভব।অার কি যেন কাল্পনিক গল্পকাহিনী বললি!
জাবের : বিবর্তনবাদ!
রাকিব : হ্যা।এই বিবর্তনবাদওতো অযৌক্তিক।অাজকের বিজ্ঞান প্রমাণ করেছে পৃথিবীর সব মানুষ সর্বপ্রথম এক পুরুষ ও এক নারী থেকেই এসেছে।
জাবের : হুম।অাসলে ঐ সময়ের কিছু মানুষ অাল্লাহ তা'অালা,তাঁর বিধান কুরঅান ও তাঁর পয়গম্বরের প্রতি বিশ্বাস না করে অযৌক্তিকভাবে কতগুলো অর্ধশিক্ষিত বিজ্ঞানীদের প্রতি অন্ধবিশ্বাস করেছিল।অার তারা বোধ হয় জানতোই না যে বিজ্ঞান গতিশীল ও পরিবর্তনশীল।অন্যদিকে ইসলাম পরিপূর্ণ।
রাকিব : একদম ঠিক।এখন যদি কেউ এমন ভাবনা নিয়ে চলে তবে তাকে কি বলা যায়?
জাবের : বিজ্ঞানের চরম উৎকর্ষের এই যুগে কেউ অাল্লাহ,তাঁর বিধান কুরঅান ও তাঁর রসূলকে অস্বীকার করলে সে হয়ত পাগল অথবা বেকুব।অবশ্য এখন বোধ হয় এমন কোনো গাধা নেই।
রাকিব : হ্যা একদম ঠিক।অাসলে এরা ছিল বিজ্ঞানান্ধ।অাচ্ছা দোস্ত এসব অবৈজ্ঞানিক অর্ধশিক্ষিত বেকুবদের কথা অার অালোচনা করে লাভ নাই।অার একুশ শতকের সবাই কিন্তু এমন ছিলেননা।অনেকেই ছিলেন পূর্ণ ঈমানদার।
জাবের : হ্যা দোস্ত।যাই হোক,চল একটু বাইরে থেকে ঘুরে অাসি।
রাকিব : ওকে।চল।
---- Muhammad Ainan Iqbal

সকল কাজের মূলেই যেন থাকে খোদার সন্তুষ্টি অর্জন

লেখা: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল আপনারা হয়তো মুসলিম জাহানের ৪র্থ খলিফা হযরত আলী ইবনে আবু তালিবের (রাঃ) সেই ঘটনাটি শোনেছেন। একদা যুদ্ধের ময়দান...