(ইসলামিক মিডিয়ার “নির্বাচিত লেখা”-তে আপনিও স্বেচ্ছায় পাঠাতে পারেন আপনার নিজের লেখা। লেখা পাঠানোর ঠিকানা: muhammadainaniqbalblogger@gmail.com)
লেখা: আবরার হোসাইন চৌধুরী
যথাসম্ভব সোর্স আর তথ্য দিয়ে সাজানো। তাই কিছুটা বড়। আশা করি ধৈর্য্য ধরে পড়বেন আর কোন ভুল হয়ে থাকলে দূঃখিত।
আজকাল পেরেড মাঠে সন্ধ্যায় চায়ের আড্ডাটা একটা রুটিনেই পরিনিত হয়ে গেছে। চায়ের আড্ডাতে সেই ৪ জনই প্রতিদিন যতসব বেদরকারী টপিক নিয়ে। যদিও আজকের টপিকটা মোটেও বেদরকারি না। চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতেই বলে উঠলাম,"কিরে তোরা নোয়াখালীর ঘটনাটা শুনসস নাকি?" সাথে সাথেই সাকিবের উত্তর, " তোর তো নোয়াখালী নিয়েই যত্তসব ঘটনা, নোয়াখাইল্লা হই গেসস যে।" মূলত নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যয়নরত থাকার কারনেই বন্ধুমহলে আমি নোয়াখাইল্লা খ্যাত। যাক ব্যাপারটা নিয়ে আমি যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলাম তাই সাকিবের দুস্টমিকে এরিয়ে গিয়ে বললাম," আরে সিরিয়াসলি, অই যে ধর্ষনের ঘটনাটা।"
আরেক বন্ধু সারঝিল, যার জ্ঞানী জ্ঞানী ভাবটাই একটু বেশি সে বলে উঠলো," হুমমম, শুনসি তো। আসলেই ভয়ানক একটা ঘটনা। তবে এক্ষেত্রে নারীর পর্দার বিষয়টাও কিন্তু সমানে দায়ী।" সাথে সাথে সাকিব অনেকটা রাগান্বিত হয়েই বলে বসলো," আরে তার মানে কি বোরকা পরা মেয়েদের ধর্ষন হয় না নাকি। মেন্টালিটিটাই মূল বিষয়। "
এর প্রেক্ষিতে আমিও বললাম," আসলে এক্ষেত্রে ন্যায় বিচারের অভাবটাকেই বেশি দায়ী বলে আমি মনে করি।"
আমাদের এত আলাপ আলোচনা এর মধ্যে এতক্ষন চুপ করে তার চা খাওয়াটা শেষ করলো দিহান। হঠাৎ সে একদিকে ইশারা করে বললো, " অই দেখ সারজিল, মেয়েটাকে দেখতে কি হট লাগতেসে।" আমরা সবাই দিহানের ইশারা বরাবর তাকালাম কিন্তু কোন মেয়েই ছিলো না সেদিকে। আমরা অবাক ছিলাম। কারন সচরাচর দিহান মেয়েদের নিয়ে এমন মন্তব্য করে না। সাথে সাথেই দিহানের আরেক প্রশ্ন," আচ্ছা আবরার বলতো, ৩০ আগে না ৩১?" আমিও নিয়ম মতোই উত্তর দিলাম ৩০। কিন্তু ব্যপারটা আমাদের কারোরই বোধগম্য হচ্ছে না যে হঠাৎ দিহান কিছু অপ্রাসঙ্গিক টপিক নিয়ে কেন কথা বলছে তাও অদ্ভুতভাবে।
সাকিব জিজ্ঞাসা করলো, " কিরে তুই আসলেই কি বলতে চাচ্চস বলতো।"
এবার দিহান উঠে দাড়ালো আর তার ভাব দেখে বুঝা যাচ্ছিলো যে সে বড় রকম একটা জ্ঞানের ভান্ডার খুলতে যাচ্ছে।
" দেখ, তোদেরকে যখন আমরা একটা মেয়ের দিকে তাকাতে বললাম, তোরা সাথে সাথে সে দিকে দেখলি, এটা জানার পরও যে ননমাহরাম মেয়েদের দিকে তাকানো একজন পুরুষের জন্য মানা। তাহলে দোষটা কার মেয়েটার নাকি তোদের? আর যেখানে কুরআনে মেয়েদের পর্দার আগে ছেলেদের পর্দার কথা বলা হয়েছে সেখানে কেন পর্দার বিষয়টা কেবল মেয়েদের উপরই লাঘোব হবে।"
সারঝিলের জবাব, " এর মানে কি, তুই বলতে চাচ্চস ধর্ষনের কারন কেবল পুরুষই? নারীর পর্দার ব্যপার টা কোন কিছুই না?"
" আমি ধর্ষনের মূল কারনটা বলতেসি, আর ৩০ আগে না ৩১ আগে এই পয়েন্টটাও মাথায় রাখ।"
দিহানের যুক্তিটা আমার ভালোই লাগলো, কিন্তু সমস্যা একটাই ছেলেটা সবসময়ের মতই কথার মধ্যে রহস্য রেখে কথা বলে। যেমন আজকেও সামান্য ব্যপারটাকেও কতটা রহস্যময় করে তুললো।
"এবার বলি, ধর্ষনের কারনগুলা আসলে কি।
প্রথমত; পর্নসাইট আর মুভির নামে যে নোংরামি ছড়াচ্ছে তা। ২০১২ এক রিপোর্ট অনেযায়ী ৫৬% পর্ন ভিডিও দেখা ব্যাক্তির মতে," There tastes in porn had become increasingly extreme or deviant.” মানে এটা ড্রাগের মত কাজ করে। যত দেখবে তত আরো নেশা বাড়ে। ব্রেইনে একধরনে কেমিক্যাল ক্ষরন হয় এর জন্য। একটা সময় গিয়ে তা ব্রেইনকে এতটা উত্তেজিত করে দেয় যে তা তখন আর ভার্চুয়ালি সেটিসফাইড থাকে না। Then its works like a Cocain. (source: Link 1)
দ্বিতীয়ত; উপযুক্ত শাস্তির অভাব। এখন যদি সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ঘটনার মধ্যে কিছু ধর্ষককে ধরে জনসম্মুখে ইসলামি শাসনমতে পাথর মেরে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয় তাহলে স্বাভাবিকভাবেই এসব কাজের সাথে জড়িতরা এধরনের ক্রাইম করা থেকে দূরে থাকবে।"
দিহান তার কথা শেষ করার আগেই সাকিব বলে উঠলো, "আমিও তো সেটাই বলতে চাচ্ছি। তবে সৌদি আরবে ইসলামিক শাসন থাকা সত্তে গত কিছু সময় ধরে দেখা যাচ্ছে তারা এভাবে মৃত্যুদন্ডের কথা বললেও তা ঠিকমত তো পালন করে না। তার প্রমান সৌদি আরবে ফাইহান আল গামদিকে ৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষনের পরও শুধু শাস্তি দিয়েছে ৮ বছরের জেল আর ৮ হাজার দোররা। তো এটাই কি ইসলামি শাসন?"
দিহান এবার আবার বলা শুরু করলো, "লেট মি ফিনিশ ইট। একে তো সৌদি আরবকে ইসলামের মডেল হিসেবে ধরার কথা কুরআন আর হাদিসের কোথাও বলে নাই। কারন ইসলামের মডেল হলো কুরআন আর নবীর হাদিস৷ আর মূলত সৌদিতে ঘটে যাওয়া ঘটনা গুলা রাজনৈতিক কারনে বর্তমান সময়ে করা হয়েছে। যেটা তাদের দূর্নীতির অংশ। আর তারা যদি ইসলাম থেকে সরে যায় ধ্বংস তাদের হবে। যার প্রমান বর্তমান সৌদির অবস্তা। তার মানে এটা না যে ইসলামের নিয়মও তাদেরকে ফলো করে পাল্টে যাবে।
তো যেটা বলতেসিলাম ইসলামি যে শাসন ১৪০০ বছর আগে ধর্ষকদের জন্য করে গেছে, সমাজে ন্যায় প্রতিষ্টা করতে গেলে সে যেই ধর্মের বা নাস্তিকই হোক না কেন, তা মানতেই হবে।"
সাকিব পূনরায় মাঝখানে বলে উঠলো," সেজন্যই দেখ আমেরিকাতে কিন্তু এসব ব্যপারে কোন ছাড় নাই।"
কথা টা শুনেই দিহান কিছুটা হেসে দিলো। হাসার কারনটা আমিও বুঝতে পারলাম না। কারন সাকিবের সাথে আমিও একমত।
" আমেরিকা যদি সত্যি এসব ব্যপারে এত কঠোর হয় তাহলে কেন ১৯৯০ সালের FBI রিপোর্ট অনুযায়ী আমেরিকাতে সে বছর ১ লক্ষ ২ হাজার ৫৬০ টা ধর্ষন কেইস হয়েছিলো, তাও মূল সংখ্যার ১৬%।৷ (source: link 2)।
আর ১৯৯৩ সালের এক রিপোর্ট অনুযায়ী শুধু ১০% এরেস্ট হয়।
যাক দেশ যেটায় হোক ধর্ষনের শাস্তির ব্যপারে ইসলাম যে নিয়ম করেছে তাকে এখন অমুসলিম হয়েও অস্বীকার করার উপায় কারো নাই।"
এবার আমাদের সারজিল ভাই এর মুখটা খুললো," তাহলে মানে এক্ষেত্রে নারীর দোষ থাকলেও তারপরও পুরুষকেই মৃত্যুদন্ড৷ বাহ, এটা কেমন কথা?"
" এক্ষেত্রে যদি নারীরও সমান দোষ থাকে তখন তা ধর্ষন না, তাকে যিনা বলা হয় সারজিল বাবু। সেক্ষেত্রেও ইসলাম উভয়কে সমান শাস্তি দিতে বলেছে। পাথড় মেরে মৃত্যুদন্ড।
এবার আসি তৃতীয় কারনে, পর্দা। "
সাথে সাথে সারজিল উচ্চস্বরে বলে বসলো, " এবার আসলা লাইনে মিয়া। নারীর পর্দাটাও যে ধর্ষনের অন্যতম অংশ এবার বল।"
দিহান আবার একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিলো সারজিলের দিকে," কিরে তোর প্যান্টটা টাকনুর নিচে অবধি নেমে গেছে যে? আর এত টাইট জিন্স প্যান্ট পড়ার মানে কি? "
সারজিল পুরাই অবাক। কিসের মধ্যে কি। আমি আর সাকিবও অবাক হয়ে গেলাম।
এবার আবার দিহান তার ব্যাখ্যা শুরু করলো," তুই জানোস শারজিল ইসলামে পর্দার বিষয়ে কুরআনে আগে পুরুষের পর্দার কথা বলেছে। অই যে বললাম ৩০ আগে না ৩১। সুরা নূর এর ৩০ নম্বর আয়াতে বলা আছে,
" আপনি মুমিন পুরুষদের বলে দিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে। এটা তাদের জন্য উত্তম। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।"
এরপর সূরা নূরের ৩১ নম্বর আয়াতে বলা হয়েছে নারীর পর্দার কথা," আর আপনি মুমিন নারীদের বলে দিন তারা যেন তাদের দৃষ্টি সংযত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গের হেফাজত করে আর তারা যেন যা সাধারনত প্রকাশ থাকে তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য্য প্রকাশ না করে।" এর পরপরই নারীদের পুরা শরীর ডাকার ব্যপারে কঠোরভাবে বলা হয়েছে।
আর ইসলামে পর্দার ব্যপারে ৬ টি নিয়ম আছে যার মধ্যে কেবল একটি ছাড়া বাকি ৫ টি নিয়মই নারী পুরুষ উভয়ের জন্য সমান। সে ৬ টি নিয়ম হলো,
১) ডিলাডালা পোষাক পরতে হবে,
২) পোষাকটি স্বচ্ছ বা পাতলা হবে না, যাতে তা বাহির হতে দেখা না যায়।
৩)অতি চাকচিক্য পূর্ণ হবে না, যে তা বিপরীত লিঙ্গকে আকর্ষন করে,
৪) কোন অমুসলিমদের ধর্মীয় প্রতীক থাকা যাবে না,
৫)বিপরীত লিঙ্গের কিছু পরিধান করা যাবে না।
৬)পুরুষ এর নাভী থেকে পায়ের টাকনু অবধি অবশ্যই ঢাকা থাকবে আর নারীর হাতের কবজি আর মুখমন্ডল ছাড়া কিছু দেখা যাবে না। যদিও অনেক ক্ষেতে মুখমন্ডল ঢাকাও বাধ্যতামূলক।
মানে এক্ষেত্রে ৬ নাম্বার পয়েন্টটা তুই নিজে মিস করে কিভাবে একটা নারীকে সে ব্যাপারে বলবি।
এই ৬ নাম্বার পয়েন্ট টা ছাড়া বাকি গুলা সব নারী পুরুষ উভয়ের জন্য সমান আর এর বেশির ভাগই অন্যান্য ধর্ম গ্রন্থেও বলা আছে। যেমন;
বাইবেল বুক অফ ডিটরনমি চাপ্টার ২২, অনুচ্ছেদ ৫ এ বলা আছে,
" নারীর এমন পোশাক পরা উচিৎ নয় যা পুরুষের জন্য নির্ধারীত আর পুরুষের এমন পোষাক পরা উচিৎ নয় যা নারীর জন্য নির্ধারীত। আর যারা এমন করে তারা ঘৃনার যোগ্য।"
আবার বাইবেল প্রথম ক্রন্তিওন্স চাপ্টার ১১, অনুচ্ছেদ ৫-৬ বলা আছে," যে নারী মাথার চুল খোলা রেখে প্রার্থনা করে তার চুল কাটা হোক।" ইসলামে কিন্তু ডিরেক্ট চুলা কাটার মত কোন নির্দেষ দেয়নি। মানে বাইবেল কুরআন থেকে বেশি কঠোর।
আবার হিন্দু ধর্মগ্রন্থ রামায়নে আছে," পরশুরাম যখন রামের কাছে আসলো তখন রাম সীতাকে বললো, আমাদের চেয়ে উনি বড়। তোমার দৃষ্টি নিচু করো এবং সৌন্দর্য্য প্রকাশ করো না।"
আবার রিগবেধ বুক ১০, চাপ্টার ৮৫, অনুচ্ছেদ ৩০ এ বলা হয়েছে," যে নারী পুরুষের পোষাক পরে সে সীমালঙ্গন করে।"
রিগবেধ বুক ৮, চাপ্টার ৩৩, অনুচ্ছেদ ১৯ বলা আছে," বক্ষ্মা বলেছেন- নারীদের মাথা ডেকে রাখতে। "
মানে পর্দার ব্যপারে নারী পুরুষ উভয়কেই ধরা হবে। আর এটা প্রমানিত যে যেসকল দেশে নারীর পর্দা বাধ্যতামূলক করা আছে সেসকল দেশে ধর্ষনের হারও কম যেমন ; আরব আমিরাতে ধর্ষনের হার ০.৯% আর USA তে ৩৮.৬%। এখন যদি কেউ বলে, না এক্ষেত্রে আরব দেশ গুলাতে নারীর কেইচ নেয়া হয় না বলেই কেইচ ফাইলও হয় না তাই হার কম যে। সেক্ষেত্রে এটা Corruption এর মধ্যে পরে, যে যে দেশে Corruption হার বেশি সে দেশে নারীর প্রতি এই রকম অন্যায়ও বেশি। তাহলে দেখ আরবি আমিরাত less corruption এর ranking এ ২১ নাম্বার আর USA এর ranking ২৩। (source : link 3,4)
এরপর ও যদি বলে পর্দার সাথে জড়িত না তাহলে কিছু বলার নাই।
ফাইনালি,অন্যতম কারন নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা। নবী সাঃ এর হাদিস মতে, " দুইজন ননমাহরাম নারী পুরুষ একসাথে থাকলে ৩য় জন হয় সেখানে শয়তান।" আর স্বাভাবিকভাবেই শয়তান তার কাজ করবেই।"
দিহানের এত ইনফরমেশন দেখে আমি সত্যিই হতবাক। তাই বলেই বসলাম, " ভাই তুই কি এগুলা পেটের মধ্যে নিয়ে চলা ফেরা করস যে নাকি।"
এবার সাকিব তার হতাশাগ্রস্ত মুখটা খুললো, " এর মানে কি ধর্ষনের প্রতিকার হলো নারীকে বন্ধী করে রাখো, তাই তো?"
দিহান কিছুটা হেসে বললো," অবশ্যই না। সেজন্যই তো কারন গুলাকে গুরুত্ব এর হিসাবে একটার পর একটা বললাম। আর ধর্ষনের কারন গুলাকে সে হিসাবে সলভ করাটাই হলো ধর্ষনের প্রতিকার। আর কোথাও এটা বলা নাই যে পর্দা করলে ধর্ষন হবে না। পর্দাটা নারী পুরুষ উভয়ের জন্য সমানভাবে সৃষ্টিকর্তার বিধান। সেটা হিন্দধর্ম হোক আর ইসলাম হোক। কিন্তু একটা জিনিস যে দুই জন জমজ বোন যদি সমান ভাবে সুন্দরী হয় তাহলে একজ যদি পর্দা মেইনটেইন করে অপরজন তা না করে অবশ্যই যে করবে না তাকে রাস্তার বকাটেগুলা ডিস্টার্ব করবে। দেখি সাকিব একটা প্রশ্নের উত্তর দে যদি এই যে ইসলামি নিয়মে শাস্তি দেয়া, নারী পুরুষের উভয়ের জন্য পর্দা করা আর নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশা বন্ধ করা হয় তবে ধর্ষন বাড়বে, নাকি একই থাকবে নাকি কমবে?"
সাকিব তাই বললো যা যৌক্তিক, কমবে।
সারজিল এবার একটা সুন্দর মন্তব্য করলো, " মানে, পুরুষ; দৃষ্টি সংযত করবে,
নারী; পর্দা মেইন্টেন করবে আর
শাসক; ধর্ষকের উপযুক্ত শাস্তি দিবে,
এই তিনটাই একত্রিত করে ধর্ষনের প্রতিরোধ সম্ভব, যা ইসলাম বাধ্যতামূলক করেছে। তাই তো?"
" আফকোর্স মাই ফ্রেন্ড। আর সাকিবকে বলবো পশ্চিমা সমাজ যা দেখায় তা সত্য কিনা তা যাচাই করে নিবি। সেজন্যই কুরআন এর সূরা হুজুরাত, অধ্যায় ৪৯, আয়াত ৬ বলা আছে- যখন তুমি কোন তথ্য পাবে ৩য় কাউকে বলার আগে সেটা যাচাই করে নাও।" দিহান তার ভান্ডার এতটুকু বলেই বন্ধ করলো।
এতক্ষন বন্ধুদের মধ্যে এই আলোচনা শেষে আসলেই বলতে হবে যে ধর্ষন এর কারন ও প্রতিকার উভয় ক্ষেত্রেই ইসলামকে ফলো করা বাধ্যতামূলক আর ইসলামের কোন নিয়ম কোন সভ্যতা, দেশ বা সময়কে ফলো করে না। ইসলামের নিয়মনীতির মূল উৎস হচ্ছে কুরআন আর হাদিস।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করুক।
সূত্র:
 |
ডিজাইন: মুহাম্মাদ আইনান ইকবাল |